আজকের সারাদেশ রিপোর্ট:
দুর্নীতি দমন কমিশনের চাকুরীচ্যুত উপ- সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের ক্ষমতার অপব্যবহার, হয়রানি, নির্যাতন এবং সাম্প্রতিক সময়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক জিএম ইঞ্জিনিয়ার মো. সারওয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক চাকুরীচ্যূত দুদকের উপ সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নিজেকে একজন সৎ কর্মকর্তা দাবী করে বক্তব্য প্রদান করেছেন। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় প্রভাবশালী মহলের চাপে তাকে চাকুরীচ্যূত করা হয়েছে বলে বক্তব্য প্রদান করে আসছেন। একইসঙ্গে চাকরিচ্যুত হওয়ার কারণে ভাইয়ের দোকানে ক্যাশিয়ার হিসেবে চাকরি করছেন। উল্লেখ করে সহানুভূতি আদায়ের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এরই মাধ্যমে আবার দুদকে চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য। আকৃতিও জানাচ্ছেন।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের জিএম থাকাকালে (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) আমার ওপর ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে অত্যাচার, নির্যাতন ও জুলুম করেছেন। তার শাশুড়ির নামে থাকা অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় চরম আক্রোশের বশীভূত হয়ে শরীফ আমাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করেন। দুই মাসেরও বেশি সময় জেলে মানবেতর জীবন কাটাতে হয়েছে আমাকে। পাশপাশি আমার সামাজিক ও পারিবারিক জীবন শরীফের অন্য দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাই শরীফের স্বরূপ উন্মোচনের জন্যই আজকে একজন ভুক্তভোগী ও নির্যাতিত হিসেবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
শরীফ আমাকে জড়িয়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (কেজিডিসিএল) সম্পর্কে মিথ্যাচার করে চলেছেন। নিজের দুর্নীতি ও অপকর্ম ধামাচাপা দিয়ে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন। তার এ সমস্ত কর্মকাণ্ডে আমার এবং কেজিডিসিএল এর সুনাম ও ভাতমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। অন্য দিকে সাধারণ জনগনও বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
কেজিডিসিএল এর গ্রাহক নূরজাহান বেগম এর আবেদনের আলোকে ও আমার অধীনস্থ কর্মকর্তাদের মতামতের ভিত্তিতে আবাসিক গ্রাহকের ১২টি দ্বৈত চুলা চান্দগাওস্থ তার নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরের অনুমোদন দেই। চূড়ান্ত পর্যায়ে বিক্রয়-উঃ বিভাগ কর্তৃক ১২টি দ্বৈত চুলা আরেকজন গ্রাহকের নামে নতুন সংযোগ এর চাহিদাপত্র প্রদান করলে গ্রাহক ডিমান্ড নোটের টাকা পরিশোধ করেন। এর পর ওই গ্রাহককে সংযোগ প্রদান করা হয়। উক্ত ১২টি দ্বৈত চুলার মাসিক গ্যাস বিল গ্রাহক নিয়মিত পরিশোধ করেন। এতে কেজিডিসিএল কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং রাষ্ট্রও কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কোন নাগরিককেও তার কোন সুবিধা থেকে বে-আইনীভাবে বঞ্চিত করা হয়নি।
অথচ এ বিষয়ে আমাকে কোন আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে গ্রেফতারের পর মামলা দায়ের করেন শরীফ। যেখানে কেজিডিসিএল এর কর্মকর্তা হিসেবে জিএম ও ডিজিএমকে আসামি করা হয়। অথচ এখানে যদি কাউকে আসামি করতে হয় কিংবা ওই সংযোগে যদি কোন বেআইনি কিছু হয়ে থাকে তবে তাতে প্রথমে নথি উপস্থাপনকারী (ভেক্ষ অফিসার) কর্মকর্তা অর্থাৎ সহব্যবস্থাপক/সহঃ প্রকৌঃ, উপ-ব্যবস্থাপক ও ব্যবস্থাপক আসামি হওয়ার কথা। এতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ব্যক্তিগত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য শরীফ আমার বিরুদ্ধে এ হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক টেকনিশিয়ান মো. দিদারুল আলম, ব্যবসায়ী হাজী দেওয়ার ও ফজলুল হক।