গ্যাস সংকটে চট্টগ্রামে রান্না হয় এক বেলা

আজকের সারাদেশ রিপোর্ট:
চাহিদার মাত্র অর্ধেক গ্যাস সরবরাহ করস হচ্ছে চট্টগ্রামে। ফলে বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে শিল্প কারখানা, সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে কমেছে গ্যাসের সরবরাহ। অনেক বাসা বাড়িতে দিনের অর্ধেক সময় গ্যাস থাকছে না।
জানা গেছে, চট্টগ্রামে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে মিলছে মাত্র ২৬০ থেকে ২৬৫ মিলিয়ন। যে পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে এরমধ্যে চট্টগ্রামের সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এবং চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে (সিইউএফএল) ৮২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দেওয়া হচ্ছে ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। বাকিটা সরবরাহ করা হচ্ছে চট্টগ্রামের শিল্পকারখানা, সিএনজি ফুয়েলিং স্টেশন, বাণিজ্যিক এবং আবাসিকসহ সবগুলো খাতে।
গৃহিণী আম্বিয়া খাতুন জানান, সোমবার থেকে ওই এলাকায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সকাল পৌনে ১০টায় গ্যাস বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর দেড়টায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। একইভাবে বিকালেও কয়েক ঘণ্টা গ্যাস থাকছে না। এ কারণে রান্নায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস অপারেশন ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে সব মিলিয়ে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এবং চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে (সিইউএফএল) ৪১ মিলিয়ন ঘনফুট করে মোট ৮২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। অপরদিকে শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুটসহ সরকারি এ তিনটি প্রতিষ্ঠানে মোট ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গ্যাস সংকটের কারণে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দৈনিক ৫ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। শিল্প কারখানায়ও চাহিদা মতো গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না।